ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​খানাখন্দে বেহাল অবস্থা ঢাকা-বরিশাল সড়কের

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০১-১১-২০২৪ ০৩:৩৪:৫১ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০১-১১-২০২৪ ০৩:৩৪:৫১ অপরাহ্ন
​খানাখন্দে বেহাল অবস্থা  ঢাকা-বরিশাল সড়কের ​সংবাদচিত্র : ফোকাস বাংলা নিউজ
সড়কপথে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার ২৬টি রুটে একমাত্র প্র্রবেশপথ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে উজিরপুরের জয়শ্রী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার সড়কের একবারে বেহাল অবস্থা। বিভিন্ন এলাকায় বিটুমিন (পিচ) আর পাথর উঠে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের বেশ কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে ছোট-বড় গর্ত। এ ছাড়া কোথাও কোথাও সড়কের দু’পাশে মাসের পর মাস কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ভূক্তভোগীরা গুরুত্বপূন এ মহাসড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন। 
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের গৌরনদীর সীমান্তবর্তী ভূরঘাটা থেকে উজিরপুরের জয়শ্রী বাসস্ট্যান্ড বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত অস্যখ্য স্থানে বিটুমিন (পিচ) আর পাথর উঠে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ মহাসড়ক প্রশস্ত করার জন্য সড়কের দু’পাশ কয়েক মাস যাবত কেটে ফেলে রেখেছে। এতে করে প্রতিনিয়ত এ মহাসড়কে কোনো-না-কোনো যান দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। দুরপাল্লার পরিবহন চালক সায়েদুল হক জানান, খানাখন্দে ভরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে হেলে-দুলে প্রতিদিন গাড়ি চালাচ্ছি। ফলে গাড়ির যন্ত্রাংশ বিকল হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহনসহ জনসাধারণ চলাচল করছে। চলন্ত মালবাহী, দুরপাল্লার যাত্রীবাহি পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্সের চাকা গর্তের মধ্যে পড়ে ইঞ্জিন ও টায়ার-টিউবে সমস্যা হচ্ছে। পাশাপাশি যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। 
টরকী বাসস্ট্যান্ডের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, ‘একটু বৃষ্টি নামলেই মহাসড়কের গর্তে পানি জমে থাকে। ফলে ঠিকমতো গর্ত দেখা যায় না। এমন পরিস্থিতিতে বাইকের গতি কম থাকলেও গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে অনেককেই। এ ছাড়াও বড় যানগুলো মোটরসাইকেল আরোহীদের গর্তে জমে থাকা পানি ছিটিয়ে ভিজিয়ে দিচ্ছে। এতে করে ভোগান্তি বাড়ছে ছোট যান চালকদের’।
পথচারী রুবেল সন্যামত অভিযোগ করে বলেন, ‘সড়ক ও জনপথ মাঝে মধ্যে নিম্নসামগ্রীর ইটের টুকরো, বালি ও পিচ দিয়ে রাতের আধারে আবার কখনও দিনে নামে মাত্র গর্ত গুলো সংস্কার করলেও কয়েক দিনের মাথায় তা উঠে যায়’।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাজমুল ইসলাম জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘অসময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় মহাসড়কের এ দুরবস্থা। বৃষ্টি কমলে সংস্কার করা হবে’। 

বাংলা স্কুপ/ গিয়াস উদ্দিন /গৌরনদী প্রতিনিধি/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ